ছাত্র রাজনীতি বনাম শিক্ষাঙ্গনের শান্তি: সংঘাত না সহাবস্থান? | Modhupath
ছাত্র রাজনীতি বনাম শিক্ষাঙ্গনের শান্তি: সংঘাত না সহাবস্থান?মধুপথ রিপোর্ট |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছাত্রদের ভূমিকা ঐতিহাসিকভাবে গৌরবময়। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে ছাত্র রাজনীতি ছিল অগ্রণী। তবে আধুনিক শিক্ষাঙ্গনে এটি যেন এক বিতর্কিত শক্তিতে রূপ নিয়েছে।
ইতিহাসের পাতা থেকে শিক্ষা
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ—সব ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাজনীতির এই আদর্শিক ধারা আজও অনেকের মনে প্রেরণা জোগায়।
বর্তমান পরিস্থিতি: শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত?
আজকের দিনে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্ররাজনীতির কারণে সহিংসতায় জর্জরিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে দখলদারিত্ব, দলীয় প্রভাব, এবং সংঘর্ষ এখন প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে উঠেছে।
- ঢাকা কলেজে সংঘর্ষ: ২০২৪ সালের মার্চে সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হন।
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রুপিং: সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া হলে উঠতে পারছে না।
রাজনীতি কি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত?
এই প্রশ্নে সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। কেউ বলেন, শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা করতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। আবার অনেকে বলেন, রাজনীতি ছাড়া নেতৃত্ব গড়ে ওঠে না।
“ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নয়, বরং তার দিক নির্দেশনা দরকার।” – প্রফেসর আনিসুজ্জামান
“নেতৃত্ব গড়ে ওঠে রাজনীতি থেকেই।” – ড. আরেফিন সিদ্দিক
সমাধান ও সম্ভাবনা
- ছাত্র রাজনীতিতে নিরপেক্ষ ও মূল্যবোধসম্পন্ন নেতৃত্ব গড়ে তোলা।
- নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- রাজনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা।
উপসংহার
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, বরং এর সংস্কার প্রয়োজন। সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে রাজনীতি ও শিক্ষা একসঙ্গে সহাবস্থান করতে পারে—যা দেশের জন্য ইতিবাচক নেতৃত্ব গড়ে তুলবে।
রেফারেন্স
ট্যাগস: ছাত্র রাজনীতি, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা, রাজনীতি, ক্যাম্পাস সহিংসতা, অভিমত