ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: পারমাণবিক অস্ত্র কমিটির জরুরি বৈঠকে পাকিস্তান | Modhupath

ভারতে হামলার পর পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কমিটির জরুরি বৈঠক

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: পারমাণবিক অস্ত্র কমিটির জরুরি বৈঠকে পাকিস্তান

তারিখ ও সময়: ১০ মে ২০২৫, শনিবার | সকাল ১১:১৫ (বাংলাদেশ সময়)

পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলার পর তারা দেশের শীর্ষ পারমাণবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (NCA)-র জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।

শনিবার ভোরে পাকিস্তান ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। দাবি করা হয়, এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারসহ বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটি।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এনসিএ-র বৈঠকে আহ্বান জানান। সংস্থাটি মূলত দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের নীতিগত দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক পাকিস্তানের কৌশলগত অবস্থান ও যুদ্ধ সতর্কতার লক্ষণ। স্টিমসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক আসফান্দিয়ার মির বলেন, “এটি মূলত পারমাণবিক সতর্কবার্তা। এমন পরিস্থিতি আমাদের যুদ্ধের এক নতুন স্তরে পৌঁছে দিয়েছে।”

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোন ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে স্পষ্টভাবে আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছে। ভারত জানায়, এই হুমকির জবাব কড়া ভাষায় দেওয়া হবে।

ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলে পাকিস্তানি হামলায় পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এ সংঘাতকে গত তিন দশকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সামরিক মুখোমুখি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিশ্ব নেতারা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ, দুই দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ভারতের ইসলামাবাদ অঞ্চলে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিচ্ছে। যদিও পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ হামলা প্রতিহত করেছে বলেও দাবি করা হয়।

ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের একাধিক সশস্ত্র ড্রোন পাঞ্জাবের অমৃতসর অঞ্চলে ঢুকে পড়ে, যেগুলো পরে ভূপাতিত করা হয়।

পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা কোনো বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত করিনি। আমাদের লক্ষ্য কেবল সেই জায়গাগুলো, যেগুলো থেকে আমাদের দেশের ওপর হামলা হয়েছে।”

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, পাঠানকোট বিমানঘাঁটি এবং উধমপুর ঘাঁটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
লাইভ চ্যাট